ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী বহন করছে বে-ক্রুজ

সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ ::
পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন যাত্রী বহন করে চলছে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজগুলো। টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী বে-ক্রুজ জাহাজের বিরুদ্ধে প্রতিবারের ন্যায় যাত্রীদের অভিযোগ সবার শীর্ষে।
২৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ৯টায় এ প্রতিবেদক দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে গেলে জাহাজে সিট বুকিং নিয়ে যেতে না পারা অনেক যাত্রী এসব অভিযোগ সংবাদকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।
অভিযোগ উঠে, বৃহস্পতিবার বে-ক্রুজ জাহাজ ৩১৪ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা করে। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী। স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে জাহাজ কর্তৃপক্ষ এমনটি করছে বলে ধারণা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
হামিদ হোসাইন নামে একজন পর্যটক জানান, তিনি প্রথমবার সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন। তবে অনুমতির চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী নেওয়ায় সে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এমনটি তিনি প্রত্যাশা করেননি।
বর্তমানে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন, বে-ক্রুজ, গ্রীনলাইনসহ ৪টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে। এসবের মধ্যে বে-ক্রুজ জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে থাকে। পাশাপাশি আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকরা নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
অনেক পর্যটকের অভিযোগ, পর্যাপ্ত টিকেট থাকার পরওয় কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয় কাউন্টারগুলো। তাতে বেশ কিছু কর্মকর্তা জড়িত। ভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে সচেতন পর্যটকরা প্রশাসনের দ্রুত হস্থক্ষেপ কামনা করেছে।
এদিকে সেন্টমার্টিনে যেতে না পারা যাত্রীরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রীবহন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা তুলে ধরে বলেন, এখানে কি প্রশাসন নেই? শুধুমাত্র কয়েকজন টুরিস্ট পুলিশ ছাড়া অন্য কোন কাউকে দেখা যায়নি। তারা শুধু নীরব দর্শন ভূমিকা পালন করছে মাত্র।
সমুদ্র তরী বে-ক্রুজের ইনচার্জ মোহাম্মদ তারেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেরনি।
সিরাজ ও টুটুল নামের দুই কর্মকর্তা স্বীকার করেন, তাদের জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল সত্য। এছাড়াও তাদের জাহাজে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি আছে মাত্র ২৮৮ জন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রবিউল হাসান যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোন সুযোগ নেই। সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়া পেলে সাথে সাথে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

পাঠকের মতামত: